২০১৬ স্বর্গলোক।

ভিড়ভাট্টা কাটিয়ে, পক্ষীরাজ capsule থেকে নারদ মুনি নেমে ছুটলেন দেবরাজ ইন্দ্রর দিকে।
নারদ মুনি: ( হাঁপাতে হাঁপাতে ) All hail Dev ই !
দেবরাজ ইন্দ্র: (এক গাল হেসে ) আররে ! নারদ যে ! বলে ফেলো, এত তাড়া কিসের ?!
নারদ মুনি: আজ্ঞে বলছিলাম যে… আপনার মনে আছে, বছর ষাটেক আগে.. কিছু হনুমানের উপদ্রব ঘটেছিল মর্ত্যে?
দেবরাজ ইন্দ্র: বল কি হে ! বছর ষাটেক আগের কথা ? তা.. হনুমান তো মর্ত্যে ছিল, আছে, থাকবে !
নারদ মুনি: আহা…ইয়ে… মানে.. সেই হনুমান নয় ! এরা ছিল মানুষই। কিন্তু হাবভাব ছিল হনুমানের মতো। আপনার মনে নেই?
দেবরাজ ইন্দ্র: কত্ত কাজ থাকে জানো? তা ছাড়া data archival চালু করার পর থেকে এত পুরনো information আমি ad-hoc দিই না! যাকগে, Background টা বলো দেখি।
নারদ মুনি:Background !!!!???
দেবরাজ ইন্দ্র: থাক! তোমায় বলে লাভ নেই। সময় কে ডাকি। (মহাভারত মনে পরছে?)

সময় : ম্যায় সময় হু !
দেবরাজ ইন্দ্র : আরে ধ্যাত্তেরি ! Intro বাদ দাও না ! Point এ এসো ! বি আর চোপরার পাল্লায় পড়ে এক্কেরে গোল্লায় গেছো !
সময়: (এক হাত জিভ কেটে ) আজ্ঞে -সে অনেক দশক আগেকার কথা । ১৯৫০। দেশ সবে স্বাধীন হয়েছে। নতুন সময়ে নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে সবার মনে ।
এরকমই এক শহরের কোন এক পাড়ায় একজোট হয় কিছু ছেলে-মেয়ে। সবাই চাকরিজীবি, কিন্তু সবার মনে ক্ষনে ক্ষনে হানা দেয় অন্য কিছু করার ইচ্ছে – কেউ গায় গান, কেউ লেখে কবিতা, কেউ গল্প, কারো ইচ্ছে বাড়ি সাজানো, কেউ নিজেকে সাজায় … আর কেউ চোখ ভরে দেখে স্বপ্ন।
সবারই ইচ্ছে গতানুগতিক চাকরির বাইরে কিছু করা। প্রতিদিন বিকেলে তারা একসাথে আড্ডা দেয়… দেশ দুনিয়া নিয়ে তর্ক করে, বেলাশেষে নিজেদের সেই অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
ঘন্টা, দিন, মাস, বছর কেটে যায়|
সেই বিকেলের আড্ডা চলতে থাকে লেবু চা-কেক সমারহে আর সেই অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো ও কোথাও জেগে থাকে।
অবশেষে সেরকমই কোনো এক বিকেলের শেষে, একজনের মাথায় আসলো – নিজেদের ভাবনা নিয়ে শহরের দেওয়াল ভরিয়ে দেব।
After all দেওয়াল লিখন বলে কথা – বাঙালির মজ্জায় স্থান ।

দেরী না করে নিজের পাড়া, পাশের পাড়া – দেওয়ালে সাঁটা হল পোষ্টার – রইল তাতে লেখা – কবিতা, গান, গল্প, ছবি -আরো কতো কি !
হনুমান তো সবারই মনে থাকে। (জয় হনুমান ভাববেন না আবার !)
এদেরও ছিল। আমাদের পূর্বপুরুষ বলে কথা। বাঁদরামো তো রক্তে আছে।
সময় এতটা বলে, দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেল। সময় আবার থেমে থাকে না যে !
নারদ মুনি: পুরো footage একাই খেলো! ধুস্!
দেবরাজ ইন্দ্র: ( মাথা চুলকে ) যাক থেমেছে ! তো নারদ মুনি, ষাট বছর আগেকার কথা আজ কেন?
নারদ মুনি: তাহলে আর বলছি কি স্যার ? এরা আবার ফেরত এসেছে ! আবার শুরু করেছে বাঁদরামো।
দেবরাজ ইন্দ্র: বলো কি !!? কি করে !!?
নারদ মুনি: এরা whatsapp এ করা তর্ক, গান, কবিতা, লেখা এবার মোবাইল ফোনের বাইরে আনছে। বাঁদরামো ছড়াবে সবার মাঝে।
দেবরাজ ইন্দ্র: কেলেঙ্কারি কান্ড বটে ! তো এলেই যখন, না হয় কিছু sample নিয়ে আসতে ?
নারদ মুনি: কি ভাষা হয়েছে আপনার! আনবো তো, আগে বার করুক কিছু।
তাই হলো অনেক গল্প।
এইবার মনের কথা আসছে Blog-এ।
আসছে হনুমান সংগঠন।
দ্রষ্টব্য্: বাঙালির বাঙালিয়ানা আছে, ছিল, থাকবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য্: জয় হনুমান
Monorom lekha. Bhalo laglo pore:)
LikeLike
অনেক ধন্যবাদ। 🙂
LikeLike
daroooooooon!!
LikeLike
Thank you Elias!
LikeLike